সবার সংবাদ ডেস্ক:
মেহেরপুরে মানুষে মানুষে শত্রুতার খেসারত দিতে হচ্ছে বিভিন্ন ফসলকে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় একের পর এক ফসল কেটে তসরুপ করছে দূর্বৃত্তরা। রাতের আধারে বা প্রকাশ্যে ফসল তসরুপের ঘটনা যেন নিত্যদিনের। কিছুদিন আগেও সদর উপজেলার বেলেগাড়ির মাঠে পূর্বশত্রুতার জেরে তামাক কেটে তসরুপের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া পাঁচ চারার মাঠে প্রায় দেড় বিঘা পেঁপে গাছ ও বোরিং মাঠ এলাকায় প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে লাগানো কলা গাছ উপড়ে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা ও মুজিবনগরে প্রায় আড়াই বিঘা জমির তরমুজ কেটে ফেলা হয়েছে।
বুধবার পৃথক পৃথক সময়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিফ তার শরীকআনা প্রায় দেড় বিঘা জমিতে ৭-৮ মাস পূর্বে পেঁপের চারা রোপন করেন। প্রতিটি গাছেই পেঁপে এসেছিল। ওই জমি নিয়ে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে ওই জমি নিজেদের দাবী করে বুধবার সকালে একই গ্রামের তোফাজ মালিথা ছেলে তোবারক হোসেন তুহিনের নেতৃত্বে তার লোকজন সকালের দিকে ওই জমিতে প্রবেশ করে দেড় বিঘা জমিতে লাগানোর সমস্ত পেঁপে গাছ কেটে তছরুপ করে। খবর পেয়ে সদর উপজেলার বৈকন্ঠপুর পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
অপরদিকে একই মাঠের ৩’শ গজ দূরে বোরিং মাঠে এলাকার মহব্বত দফদারের ছেলের আব্দুল হুদার নিজস্ব জমিতে লাগানো দেড় বিঘা জমিতে লাগানো প্রায় নয় শতাধিক কলা গাছের অধিকাংশ উপড়ে ফেলে রেখে গেছে দূর্বৃত্তরা। সকালে জমির মালিক বিষয়টি দেখে পুলিশে খবর দেয়।
অপরদিকে মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর মাঝপাড়ার পগারের বেড় নামক মাঠে আড়াই বিঘা জমির তরমুজ কেটে তসরুপ করেছে জমির মালিক বলে অভিযোগ করেছেন তরমুজ চাষী আশরাফুল ইসলাম। এতে তার প্রায় চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
আশরাফুল জানান, স্থানীয় কাদেরের জমি তিন বছর ধরে লীজ নিয়ে আমি চাষ করি। বছরে ৩০ হাজার টাকা তাকে দিতে হয়। বছর শেষ হতে এখনও এক মাস সময় আছে। এখন এই জমিটি বেশি টাকায় অন্যকে দিতে চাই জমির মালিক। জমিটি ছাড়িয়ে নিতেই আমার এই ক্ষতি করা হয়েছে।
এঘটনায় এলাকার কৃষকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এঘটনায় ভূক্তভুগী কৃষকরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।