সবার সংবাদ ডেস্ক :
রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির দায়ে শহরের কলেজ মোড় এলাকার জনপ্রিয় ইয়ারুল হোটেলের মালিক ইয়ারুল ইসলাম ও তার কর্মচারী মফেজ উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরের দিকে এই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে, প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ- রোগাক্রান্ত গরুটি তাদের চোখের সামনে ছটফট করতে করতে মারা যায়। তাৎক্ষণিক সেই গরু জবাই করা হলে ইয়ারুল সেই মাংস তার নিজ হোটেলে বিক্রির জন্য সংগ্রহ করে।
জানা গেছে, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার রিয়াজ মাহমুদের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ একটি দল শহরের স্টেডিয়ামপাড়া সংলগ্ন পারভেজ কসাইয়ের বাড়িতে রোগাক্রান্ত গাভীর মাংস বিক্রির খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। পরে উক্ত মাংস ইয়ারুল হোটেলে বিক্রি করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করলে ইয়ারুলের হোটেল থেকে সেই গরুর ৩২ কেজি মাংস জব্দ করে।
আইনপ্রযোগকারী সংস্থা সেই গরুর মাংস জব্দ করার পর রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির দায়ে হোটেল মালিক ইয়ারুল ইসলাম এবং তার কর্মচারী মফেজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদেরকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার পর থেকে পারভেজ কসাই পলাতক রয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে জব্দকৃত মাংস ধ্বংস করা হয়। আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে যোগসাজসে এ ধরণের কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান- পারভেজ সহ ওই এলাকার দুইজন কসাই রযেছেন যারা রোগাক্রান্ত গরু কম দামে সংগ্রহে করে। অধিক মুনাফার লোভে পরে সেই গরু জবাই করে তারা ক্রেতা সাধারণের মাঝে সুস্থ ভালো গরুর মাংস দাবী করে বিক্রি করে।
নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী, মেহেরপুর বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে পারভেজ কসাই, ইয়ারুল হোটেলের মালিক ইয়ারুল ইসলাম ও তার সহযোগী মফেজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে- নোংরা পরিবেশ এবং বাসীপচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ইয়ারুল হোটেলে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা সহ মাংস জব্দ করা হয়েছে। এবারের জব্দকৃত মাংস রোগাক্রান্ত নাকী মরা গরুর তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালতের নির্দেশে প্রাণীসম্পদ বিভাগে মাংসের নমুনা পাঠানো হয়েছে।