সবার সংবাদ ডেস্ক:
ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বণিক বার্তার সাবেক সহকারী বিজ্ঞাপণ ম্যানেজার ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পূর্বমালসাদহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম কাউছার হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডাপ্রাপ্ত আসামী আবু সাদাত মো: ফয়সাল ওরফে প্যাডিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাতে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল র্যাব-২ এর শেরে বাংলানগর ক্যাম্পের সহায়তায় তাকে তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া এলাকা থেকে তাকে প্রেপ্তার করে। আবু সাদাত মোঃ ফয়সাল ওরফে প্যাডি গাংনী উপজেলার শিরিপাড়া গ্রামের মাহাতাব উদ্দীনের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত প্যাডিকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। প্যাডির নামে খাগড়াছড়ি জেলায় একটি হত্যা মামলা ও অস্ত্র গুলি এবং বিষ্ফোরদ্রব্য আইনে মামলাসহ গাংনী থানায় আরো ৬টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরওয়ানা রয়েছে। জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম কাউসার ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকাস্থ ভাড়া বাসা থেকে পত্রিকা অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হন। তিনদিন পর ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার নামাপাড়া বোর্ডঘাট এলাকার একটি বাসায় স্যুটকেস ভর্তি অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনায় প্যাডি ও তার সহযোগি রাইহান, নাজমুল হাসান রাকিব ও ফয়সাল ফাহিম নামের ৪ জনকে আসামী করে খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন জাহাঙ্গীর হোসেন কাউছারের স্ত্রী রোজিনা খাতুন। যার মামলা নং-১৬, তাং ১৮-৯-১৫ ইং। টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার পর পুলিশ অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার করে। তবে প্যাডি পলাতক ছিলেন। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ২০১৮ সালে প্রধান আসামী আবু সাদাত মোঃ ফয়সাল ওরফে প্যাডিকে মৃত্যুদন্ড ও অন্যান্য আসামীদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, রায় ঘোষণার সময় থেকে প্যাডি পলাতক ছিল। সে ঢাকার বাউনিয়া এলাকায় রুবেল নামে পরিচিত হয়ে বসবাস করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে এসআই জহির রায়হান ও সঙ্গীয় ফোর্স তাকে গ্রেপ্তার করে।