সবার সংবাদ ডেস্ক:
বিধি বর্হিভুত ভাবে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং নিয়োগ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং নিয়োগে লাখ লাখ টাকা অর্থ বাণিজ্য’র অভিযোগ উঠেছে। সরকারী বিধি ভেঙ্গে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৪ মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে ভোট গ্রহণে বিধি বর্হিভুত ভাবে জনবল নিয়োগে অর্থ বানিজ্য করেন তিনি।
জানা গেছে, গাংনী পৌর শহরের ৮৬ নম্বর কেন্দ্র চৌগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোজিনা খাতুন নামের একজনকে পোলিং নিয়োগ করা হয়। রোজিনা খাতুনকে গাংনী সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী দেখানো হয়েছে। একই ভাবে রেহেনা খাতুনকেও গাংনী সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী দেখিয়ে তাকে পোলিং নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৬তম গ্রেডের কর্মচারী হলেও উপজেলা পরিষদের সিএ সঞ্চিতা ইসলামকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসান।
গাংনী সাব রেজিষ্টার মাহফুজ রানা বলেন, রোজিনা খাতুন ও রেহেনা খাতুন তার অফিসের অফিস সহকারী কিংবা সরকারী কর্মচারী নন। তারা দুজন নকল নবিশ। সাব রেজিষ্টি অফিসের পক্ষ থেকে রেহেনা কিংবা রোজিনা খাতুনের নামের তালিকা নির্বাচন অফিসে দেয়া হয়নি। কিভাবে তাদের পোলিং নিয়োগ করা হয়েছে তিনি জানেন না। তালিকায় এই দুটি নাম দেখে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে তালিকা ভুক্তকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন তিনি।
গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, সঞ্চিতা ইসলাম তার অফিসের সিএ তার গ্রেড ১৬তম সে হিসেবে তাকে পোলিং করা যেতে পারে কিন্তু কিভাবে তাকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা নিয়ে অনৈতিকতার প্রশ্ন তোলেন।
গাংনী পৌরসভার উচ্চমান সহকারী জামিরুল ইসলাম টিক্কা বলেন, তিনি পৌরসভার নিয়মিত কর্মচারী হওয়ায় তাকে তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সহড়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং নিয়োগ দেয়া হলেও অজ্ঞাত কারনে তাকে ভোট গ্রহনের ১ ঘন্টা পূর্বে সরিয়ে নেয়া হয়। অথচ সরকারী কিংবা বিধির বাইরের কর্মচারী বাইরের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সার্বিক বিষয়টি তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি করেন। এ
দিকে গাংনী উপজেলা শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতা বলেন, সরকারী চাকুরী করলেও তাদের অনেক শিক্ষককে নির্বাচনে পোলিং কিংবা সহকারী প্রিজাইডিং নিয়োগ দেয়া হয়নি অথচ সরকারী চাকুরী করেনা তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এমনকি ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠা কিন্ডার গার্ডেনের কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যা দূর্নীতির মাধ্যমে করা হয়েছে। এসব দূর্নীতির বিচার হওয়া উচিত।
গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসান বলেন, রেহেনা খাতুনের বিষয়টা নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছিলো। একারনে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। অন্য গুলোর বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের ব্যবহৃত সরকারী মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।