ভূল অপারেশন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে গাংনীর কুদ্দুস
টপ নিউজ মেহেরপুর

ভূল অপারেশন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে গাংনীর কুদ্দুস

সবার সংবাদ ডেস্ক:

মেহেরপুর ক্লিনিকের ডা. মিজানুর রহমানে ভূল ভূল অপারেশন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে গাংনীর কুদ্দুস আলী (৭০)। গত ০২ মার্চ এপেনডিক্স অপারেশন করান কুদ্দুস। অপারেশনের ৪র্থ দিন পর থেকে পেট ব্যাথা বৃদ্ধি ও অপারেশনের স্থান দিয়ে মল বের হয়ে আসতে শুরু করলে।

পরে ক্লিনিক কর্তপক্ষ তড়িঘড়ি ১০হাজার টাকা বিল পরিশোধ করে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। কুদ্দুস আলী গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ানের বাওট গ্রামের মৃত তাহের উদ্দীন। কুদ্দুস আলী ছেলে জামাল উদ্দীন জানান, গত ২৭;ফেব্রæয়ারি আমার বাবা পেটে ব্যাথা শুরু হলে গাংনীর রাজা ক্লিনিকে ডাক্তার পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে এপেনডিক্সের কথা বলেন। পরে আমার ফুপু বামন্দীর সোনার বাংলা ক্লিনিকের নার্স মলিদা খাতুনের কথা মত মেহেরপুর ক্লিনিকে ভর্তি করি। ডা. মিজানুর রহমানের তত্ত¡াবধানে আমার বাবাকে অপারেশন করা হয়।

অপারেশনের চার দিনের মাথায় বাবার পেট ফুলতে থাকে, অপারেশনের স্থান দিয়ে মল বের হতে শুরু করে। কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়ো করে আমার বাবাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জন ইমরান আলীর তত্ত্বাবধায়নে বাবার পুনরায় অপারেশন করা হয়। পরে আমরা জানতে পারি বাবার মলদ্বারের নালী কেটে দিয়েছে ডা. মিজানুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, বাঁচার আশায় আমরা হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে যাই। যদি চিকিৎসা নিয়ে বাঁচার আশায় গিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হয় সেই ডাক্তার থেকে বিরত থাকায় ভালো। সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য পিঞ্জিরা খাতুন জানান, কুদ্দুস আলী অত্যন্ত অসহায় মানুষ। স্থানীয়দের সহায়তায় বাঁচার আশায় এপেনডিক্স অপারেশন করিয়াছিলেন। কিন্তু সুস্থ হওয়ার আশায় অপারেশন করে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা ডা. মিজানুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সেই সাথে ভুক্তভোগী পরিবারের ক্ষতিপূরণের দাবি করছি।

মেহেরপুর ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডা. মিজানুর রহমান জানান, ভুলবশত মলদ্বারে নালী কেটে গিয়েছিল। রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল সেখানে অপারেশন করেছে চিকিৎসক। যেহেতু আমার কাছে ভুলক্রমে কেটে গেছে তাই দায়ভার সম্পূর্ণ আমার।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ডা. সিভিল সার্জন জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী জানান, ভুক্তভোগী পরিবারকে থানা অথবা কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। যেহেতু লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত কমিটির গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।