আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধাদের বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, জেনেটিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে তারা। কমিটি জানায়, ১০ জন নিহতের পরিচয় পাওয়া গেছে। ফ্লাইট তালিকার সঙ্গে সবার নাম মিলেছে।
মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার সময় বুধবার বিধ্বস্ত হয় একটি বিমান। এতে থাকা ১০ জনের মধ্যে প্রিগোজিনও ছিলেন। বিমানটি টাভার অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হয়। কয়দিন আগেও ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্টের শক্তিশালী হাতিয়ার ছিল ওয়াগনার গ্রুপ। আর এই গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ছিলেন পুতিনের অন্যতম আস্থাভাজন।
তবে জুনে রুশ সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন প্রিগোজিন। সদস্যদের নিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রা করেন তিনি। অবশ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান পাল্টান তিনি। বেলারুশের প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে বিদ্রোহ থেকে সরে বেলারুশে চলে যান তিনি।
এরপর থেকেই প্রিগোজিনের সঙ্গে পুতিনের দূরত্ব তৈরি হয়। প্রিগোজিনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার আগে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, বেশ কিছু ভুল করেছিলেন ওয়াগনার প্রধান। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের দাবি, পুতিনের নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে প্রিগোজিনকে। তাদের ভাষ্য, বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করেন না পুতিন।