মুজিবনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে হামলা, ৩ নারীসহ আহত-৬
টপ নিউজ আইন-আদালত মেহেরপুর

মুজিবনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে হামলা, ৩ নারীসহ আহত-৬

সবার সংবাদ প্রতিবেদক:

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে শরিকানা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা চালিয়ে তিন নারীসহ ৬জন আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মৃত শাহিদুল ইসলামের ছেলে রোকনুজ্জামান শাপলা, রাশিদুল ইসলামের ছেলে, তারিক, আরিফ হোসেন, আলিফ হোসেন, মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে আশাদুল ইসলাম, মৃত কাদের মন্ডলের ছেলে রাশিদুল ইসলাম, আরিফ হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া ও মেয়ে আরিফার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় খুশি, ছবিতা, মাইমুন নেছা, মহিদুল ইসলাম, আকাশ ও বাবু আহত হন। হামলার ঘটনার একটি সিসি টিভি ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে আসে। যেখানে অভিযুক্তদের সরাসরি সম্পৃক্ততার দেখা যায়।

এঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মুজিবনগর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা মহিদুলের বংশের লোকজন। তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ীর জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলছে। বিরোধের জের ধরে শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্তরা মহিদুলের ভাইয়ের মেয়ে খুশিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন খুশি তাদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করলে সোনিয়ার হাতে থাকা ইট দিয়ে খুশির ডান চোখের উপরে ও নিচে সজোরে আঘাত করে জখম করে। এসময় খুশির চিৎকারে দিলে মহিদুলসহ আকাশ, বাবু, ছবিতা ও মাইমুন নেছা ঘটনাস্থলে আসলে অভিযুক্তরা ইট ও কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে সকলকে গুরুত্বর আহত করে। তাদের হামলায় খুশি, আকাশ, বাবু ও মাইমুন নেছা গুরুত্বর আহত হয়। এছাড়াও অভিযুক্তরা বসত বাড়ীর জালানা, বাথরুমের টাইলস, পানির ট্রাংকি, রান্না ঘরের টালি ভাঙচুর করে অনুমান ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। পরে কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে ক্যাম্পের পুলিশসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে আহতরা পরিবারের অন্যান্যদের সহযোগিতায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তবে বর্তমানে তারা আবারও হামলা হতে পারে এমন ভয়ে দিন কাটাচ্ছে।

অন্যদিকে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে রোকনুজ্জামান শাপলা বলেন, শরীকানা জমি নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের পারিবারিক ঝামেলা চলছে। আমি বাড়িতে থেকে শুনলাম গন্ডোগোল হচ্ছে। নামাজের সময় আমার চাচা ও ভাইয়েরা কেউ বাড়ি ছিলো না। এসময় বাড়ির মহিলারা গন্ডোগোল করে। এসময় দুই পরিবারই ইট নিক্ষেপ শুরু করে। সেই ইটে হয়তো তারা আহত হতে পারে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের কাউকে পাইনি।