সবার সংবাদ ডেস্ক :
মেহেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। প্রার্থী সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে নির্বাচনী আইন এবং আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। কঠোর অনুশাসনের মধ্যে অনুষ্টিত হবে এই ভোট। প্রশাসন কোন ক্রমেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেবে না। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে প্রশাসনিক যত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন, তার সবটুকুই করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হবে সবকিছু। শনিবার বিকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের নিয়ে এবং পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মনসুর আলম খান একথা বলেন। এই সময় তিনি প্রার্থী এবং ভোটরদের ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ সহ মোটরসাইকেল, গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন। সেই সাথে আচরণ বিধি অনুসরণ এবং মান্য করে প্রতিটি প্রার্থী এবং ভোটারদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন- নির্বাচন চলাকালে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিবে প্রশাসন।
এই সময় মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম বলেন- নির্বাচনে কেউ কেউ পেশীশক্তি ব্যবহারের আশঙ্কা ব্যাক্ত করে বক্তব্য দিয়েছেন। কেউ কেউ একসাথে ভোটারদের গোপনকক্ষে নিয়ে গিয়ে নিজের পক্ষে ভোট করিয়ে নিবেন এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। পুলিশ সুপার বলেন- এমন কাজ কেউ করার দু:সাহস দেখালে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে বিপুল পরিমান পুলিশ সহ আইনপ্রয়োগকারী অন্যন্য সংস্থার সদস্য ছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবেন। সেই সাথে কেন্দ্রের আশপাশ এলাকায় থাকবে পুলিশের কঠোর নজরদারী। শনিবার বিকেল ৫ টার সময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম, বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম রসুল সহ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিভিন্ন সদস্যরা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হুদা। মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে, সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে জেলা প্রশাসক বলেন- সাংবাদিকদের দায়িত্ব নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করা। সেইক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আচরণবিধি মেনে চলে নির্বাচনী পেশাগত কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন- নির্বাচন চলাকালে কোন অসঙ্গতি চোখে পড়লে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট অফিসার কিংবা প্রশাসনকে জানালে আমরা সাংবাদিকদের প্রতিটি অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নেব। ১৭ অক্টোবর অনুষ্টিত হবে মেহেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন।