সবার সংবাদ ডেস্ক:
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়ি গ্রামে মেহেরপুর পল্লীবিদ্যুৎ এর ঝাড়ুদার আবু তালেবের জমি জোরজোবর দখল ও নির্যাতন থেকে নিস্কৃতি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংখ্যালঘু সহ ভুক্তোভুগি ১১ পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিকদের পক্ষে দীপক কর্মকার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা ১১ পরিবার ৫৯ শতক জমি আব্দুর রাজ্জাকের সাথে ক্রয় করে প্রায় ৭০ বছর বসবাস করছি।
আব্দুর রাজ্জাক জমিটি শ্রী ত্রৈলাক্ষনাথ বিশ্বাসের নিকট বিনিময় সুত্রে প্রাপ্ত হয়। এস এ রেকর্ড আব্দুর রাজ্জাকের নামে থাকলেও ২০১৪ সালে জমিটি অর্পিত সম্পত্তির ভুক্ত হয়। আমরা রেকর্ড সংশোধনের মামলা করেছি যা আদালতে চলমান। মামলা নাম্বার দেং ১১২৪/২১। ২০১৪ সালে অর্পিত সম্পত্তির তালিকা ভুক্ত হবার পর থেকে ১১ পরিবারকে উচ্ছেদের জন্য আমাদের উপর অমানসিক নির্যাতন ও প্রাণ নাসের হুমকী দিচ্ছেন মেহেরপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ঝাড়ুদার আবু তালেব।
আবু তালেবের মানসিক নির্যাতস সহ্য করতে না পেরে প্রবাসীর স্ত্রী ফেরদৌসি বাড়িতে তালা লাগিয়ে চলে গেছে। আবু তালেব ২০১৫ সালে জমিটি তার মা ছারেজান নেছার দাবী করে আদালতে মামলা করে। সেই দলিল জাল প্রমানিত হওয়ায় মেহেরপুর আদালত তার মামলাটি খারিজ করে দেয়। এরপর পুনরায় আবার একটি দলিল তৈরি করে নিজের নামে জমি খারিজ করে নেন। যা বর্তমানে রকর্ড সংশোধনের মামলা আদালতে চলছে।
এখন জমি দখল নেওয়ার জন্য পরিবারের বিভিন্ন সদস্য দের প্রাণ নাসের হুমকী সহ পথে ঘাটে নির্যাতন করছে। আমরা তার নির্যাতন থেকে বাঁচতে মেহেরপুর আদালতে একটি মামলা করি মামলা নম্বর সি আর- ৬৫৬/২৩। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মেহেরপুর প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে আমাদের দাবী, আমাদের জান ও মালের নিরাপত্তা দেবার জন্য প্রয়োজনিও ব্যাবস্থা গ্রহন করার।
এসময় জমির ১১ পরিবারেরর নারা পুরুষরা উপস্থিত ছিলেন। গাংনী কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা বলেন দির্ঘ ৭০ বছরের বেশি সময় এই ১১ পরিবার এখান বসবাস করছে। তবে সম্পত্তিটি বর্তমানে অর্পিত সম্পত্তির তালিকা ভুক্ত।