ভারতীয় সহ ১২ বিদেশি ওষুধ ব্যবহারে সতর্কতা জারী
টপ নিউজ জাতীয়

ভারতীয় সহ ১২ বিদেশি ওষুধ ব্যবহারে সতর্কতা জারী

সবার সংবাদ ডেস্ক :

প্রতিবেশী দেশ ভারতের মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চারটি সিরাপ বাংলাদেশে ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ইন্দোনেশিয়ার আটটি সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা দিয়েছে।

ভারতের মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চারটি সিরাপ হলো- প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন বিপি ১০০ এমএল, কোফ্যাক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ ১২৫ এমএল, ম্যাকফ বেবি কফ সিরাপ ১০০ এমএল এবং ম্যাগ্রিপ এন গোল্ড সিরাপ ১০০ এমএল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ইন্দোনেশিয়ার আটটি ওষুধ হলো- টারমোরেক্স সিরাপ, ফ্লুরিন ডিএমপি সিরাপ, ইউনিবেবি কফ সিরাপ, ইউনিবেবি ডিমাম প্যারাসিটামল ড্রপস, ইউনিবেবি ডিমাম প্যারাসিটামল সিরাপ, প্যারাসিটামল ড্রপস, প্যারাসিটামল সিরাপ (মিন্ট) এবং ভিপকল সিরাপ।

ডায়রিয়া ও কিডনি সমস্যায় ফেলতে পারে- এমন শঙ্কা থেকে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার দুটি প্রতিষ্ঠানের এই ১২টি সিরাপ বাংলাদেশে ব্যবহার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো সরকারের তরফ থেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে ওষুধ প্রশাসনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সিরাপগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ইথিলিন গ্লাইকল ও ড্রাই ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া যাচ্ছে, যা ব্যবহার করা অত্যন্ত অনিরাপদ। বিশেষ করে শিশুদের এসব ওষুধ সেবনে পেটব্যথা, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, মানসিক সমস্যা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

তবে, বাংলাদেশে এসব ওষুধ ব্যবহার হয় না বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো কোম্পানি এসব ওষুধ আমদানি করে না। তারপরও আমরা বাড়তি সতর্কতা দিয়েছি, যাতে কেউ না আনে। একই সঙ্গে অনেকে নিজেদের ব্যবহারের জন্যও বাইরের দেশে গেলে নিয়ে আসে। এটা যাতে না হয়, তাই বিরত থাকতে বলা হয়েছে।’

গত মাসে গাম্বিয়ায় ভারতের মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ওই চারটি সিরাপ পান করার ফলে ৬৬ শিশুর মৃত্যু ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি নিয়ে অধিক তদন্ত শুরু করে। এরপর আফ্রিকার মানুষের জন্য এসব সিরাপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় সংস্থাটি।