আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতে চিকিৎসককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন হাজার হাজার চিকিৎসক। সোমবারও তারা কর্মবিরতি শেষ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ফলে হাসপাতাল সেবা ব্যাহত হচ্ছে। সহকর্মীর নিরাপত্তা এবং দ্রুত অপরাধ তদন্তের দাবিতে গত সপ্তাহ থেকে চলা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি এখনও অব্যাহত রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গত ৯ আগস্ট কলকাতার একটি হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সী এক শিক্ষানবিস চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশের এক স্বেচ্ছাসেবক এ অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, ২০১২ সালে দিল্লির চলন্ত বাসে এক ছাত্রীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার পর কঠোর আইন প্রণয়ন সত্ত্বেও ভারতে নারীরা যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। এই ঘটনাটি আরও একবার এ সমস্যার গভীরতা তুলে ধরেছে।সরকার চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি কমিটি গঠনের কথা বলেছে। তবে বিক্ষোভকারী চিকিৎসকরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল।
আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের মুখপাত্র ডা. অনিকেত মহাতা বলেছেন, আমাদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলো পূরণ হয়।
চিকিৎসকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রবিবার কলকাতার রাজপথে পশ্চিমবঙ্গের দুটি বড় ফুটবল ক্লাবের হাজার হাজার সমর্থক ‘আমরা বিচার চাই’ স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন। প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যা, রাজধানী নয়াদিল্লি এবং পশ্চিম ভারতের গুজরাটেও চিকিৎসকদের সংগঠনগুলো প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথ ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকাকে বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে কর্মে অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়।