স্পোর্টস ডেস্ক:
সাম্প্রতিক সময়ে সাকিব আল হাসানের ফর্ম নিয়ে তীব্র আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনার মধ্যেই ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে হুট করে সংবাদ সম্মেলনে এসে অবসরের ঘোষণা দিলেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। তবে তিন ফরম্যাটে নয়, আপাতত ওয়ানডে চালিয়ে যাবেন তিনি। কেবল টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকেই নিজেকে সরিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের সেরা এই ক্রিকেটার।
বৃহস্পতিবার কানপুর টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান গণমাধ্যমকে নিজেই অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান। সাকিব বলেছেন, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি। মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট।’
সাকিব সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। ওটাই হয়ে থাকছে সাকিবের শেষ ম্যাচ। ফলে টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে আর দেখার সম্ভাবনা নেই। তবে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলার আগে আরও তিনটি টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। শুক্রবার কানপুরে শুরু হতে যাওয়া ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ছাড়াও ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আরও দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ওই দুটি ম্যাচ খেলেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছিলেন সাকিব। তখন অবসর ভাবনা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বলেছিলেন, ‘শেষ (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) কিনা জানি না। পৃথিবীতে যেকোনও সময় যেকোনও কিছু হওয়া সম্ভব। এটা তো সিদ্ধান্ত নেবে আসলে ক্রিকেট বোর্ড। আমার নিজেরও ব্যক্তিগত কিছু সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। তবে এগুলো আসলে এখানে আলোচনা করার বিষয় নয়। এগুলো সময়ের সঙ্গে হয়তো আলোচনা হতে পারে।’
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে টি-স্পোর্টসে সাক্ষাৎকারেও সাকিব বলেছিলেন, এই বিশ্বকাপ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান তিনি। শেষ অব্দি ওই সাক্ষাৎকারের কিছু কথা মিলে গেছে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই হয়ে থাকলো সাকিবের শেষ টুর্নামেন্ট। এদিকে আগামী বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ওই ট্রফির মধ্য দিয়ে সাকিব শেষ করতে পারেন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার। আর টেস্ট ক্যারিয়ার তো শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মধ্য দিয়ে।
২০০৭ টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। এই পর্যন্ত ৭০ টেস্ট ৩৮.৩৩ গড়ে করেছেন ৪ হাজার ৬০০ রান। করেছেন ৫ সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ সেঞ্চুরি। এছাড়া ৩১.৮৫ গড়ে ২৪২ উইকেট নিয়েছেন। অন্যদিকে ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া সাকিবের ১২৯ ম্যাচে ২ হাজার ৫৫১ রান ছাড়াও বল হাতে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট।