মেয়েকে মৃত মায়ের মুখ দেখাতে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ
টপ নিউজ মেহেরপুর

মেয়েকে মৃত মায়ের মুখ দেখাতে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ

সবার সংবাদ ডেস্ক:

বাংলাদেশের মেহেরপুরের ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে এদেশে চলে আসায় বহুদিন দেখা নেই ভারতে বসবাসের মায়ের সাথে। অবশেষে সেই মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে মেয়ের কান্নায় সীমান্তের বাতাস ভারী হয়ে উঠলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ সীমান্তে মৃত মায়ের সাথে মেয়ের শেষ দেখার ব্যবস্থা করে। 

ভারতীয় ভূখন্ডে মৃত্যুবরণকারী মাকে শেষ দর্শনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিজিবি-বিএসএফ এই মানবিক উদ্যোগ নেয়। শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিজিবি'র চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি)-এর অধীনস্থ আনন্দবাস বিওপি'র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্তের মেইন পিলার ১০১ এর নিকট প্রতিপক্ষ ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার ভাতগাছি গ্রামের নাগরিক ওয়াছন বিবি (৯০) বাধ্যর্কজনিত কারণে নিজ বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেন।

ওয়াছন বিবির মেয়ে মোছাঃ আমিরা খাতুন ভারতীয় ভূখন্ডে মুত্যুবরণকারী মাকে শেষ দর্শনের জন্য বিজিবি'র নিকট অনুরোধ করে। মোছাঃ আমিরা খাতুন মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের উজ্জল শেখের স্ত্রী।

মেয়ে আমিরা খাতুনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিজিবি তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিপক্ষ বিএসএফের সাথে যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে বিকেল ১৫১০ ঘটিকা হতে ১৫২০ ঘটিকা পর্যন্ত মৃতের নিকট আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে মৃত ব্যক্তির মেয়েকে শেষ দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।

উল্লেখ্য, সীমান্তে শান্তি, সস্প্রীতি বজায় রাখতে এবং উভয়ই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সু-সম্পর্ক উন্নয়নে বিজিবি-বিএসএফের এই মানবিক কার্যক্রম উভয়ই দেশের সীমান্তে বসবাসরত জনগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

চুয়াডাঙ্গা বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শাহ মোঃ ইশতিয়াক, পিএসসি এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন- এই উদ্যোগ সীমান্তের দুই দেশের বাহিনীকে এবং জনগণকে অনেক বেশি মানবিক করেছে।