সবার সংবাদ প্রতিবেদক:
মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাকপুর গ্রামে আগাছানাশক বিষ প্রয়োগ করে এক অসহায় পরিবারের ১০ কাঠা জমির ধান পুড়িয়ে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের অম্মতের ছেলে মনিরুল, লুতফলের ছেলে হামিদুল ও হামিদুল ছেলে মিন্টুর বিরুদ্ধে।
গত বুধবার রাতের কোন এক সময় ফকিরজল নামক মাঠে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা শুধু গত বুধবারেই নয় এর আগেও কয়েকবার বিভিন্ন ফসল নষ্ট এবং ওই জমির পাশেই আরেকটি জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আল্লাদি খাতুন।
জানা গেছে, পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির মালিক মোঃ ফিরোজ। অভিযুক্তরা জমির ওয়ারিশ দাবি করে দীর্ঘদিন ধরেই ফসল কর্তন ও দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জমি নিয়ে দু’পক্ষ আদালতে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেছেন যা বর্তমানে চলমান। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে তারা জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, এই জমিতে আগে ফিরোজের বাবাকে আমরা আবাদ করতে দেখেছি। ফিরোজের বাবা মারা যাওয়ার পর এখন ফিরোজ চাষাবাদ করে। এত বছর পর হঠাৎ করে শুনছি মনিরুলরা এই জমির ওয়ারিশ। যে কারণে তারা জমি জোর করে দখল, ফসল পুড়িয়ে নষ্ট করে। এই ধান লাগানোর আগেও তারা ফিরোজকে মারধর করে আহত করে। ফিরোজ একটু পাগলের মত হওয়ায় ফিরোজের স্ত্রী কষ্ট করে এই জমি চাষাবাদ করেন। এবার জমিতে ধান লাগানো হয়েছে। ধান গাছের শীষ বের হতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় বিষ প্রয়োগ করে ধান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজটি যারাই করুক তা খুবই অন্যায় হয়েছে।
ফিরোজের স্ত্রী আল্লাদি খাতুন বলেন, আমার স্বামী একটু পাগল মত হওয়ায় এই জমিতে আমি নিজেই চাষাবাদ করি। কিন্তু যখনই কিছু আবাদ করি তখনই তারা ক্ষতি করে। কিছুদিন আগেও আমার স্বামীকে মারধর করে আহত করে। আগামী মাসেই এই ধান কাটা হতো। কিন্তু শীষ বের হওয়া সমস্ত ধান তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। এটুকুই আমার সম্বল। আমার পাগল স্বামী ও তিনটা ছেলেমেয়ে খাবো কি। আমি অসহায় হওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিচার চেয়েও কোন বিচার পাইনি। আমি এর সঠিক বিচার চাই। এবিষয়ে জানতে মনিরুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।