সবার সংবাদ প্রতিবেদক:
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক সংস্কারে গাংনী বাসস্ট্যান্ডে মূল নকশাঁ বাস্তবায়নের দাবী তুলে বাজারের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে সড়ক অবরোধ করেন ব্যবসায়ি ও এলাকাবাসি। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে সড়কে অবস্থান নেওয়ায় প্রায় দেড় ঘন্টা সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে ৭২ ঘন্টা আল্টিমেটাম দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন তারা।
জানা গেছে, গাংনী বাসস্ট্যান্ডের বর্তমান যে ছোট্ট গোলাকার আইল্যান্ডটি রয়েছে তা তিন রাস্তার মিলনস্থল। মেহেরপুর থেকে গাংনী হয়ে কুষ্টিয়া এবং গাংনী-হাটবোয়ালিয়ার দিকে তিনটি রাস্তা বিদ্যমান। এই তিন রাস্তার মিলিত স্থান থেকে সহজে যানবাহন ও মানুষ চলাচলের জন্য এখানে ত্রিভূজ আকৃতির একটি আইল্যান্ড রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নকশাঁয়। দেখা যায় ২০১৯-২০২০ সালের দিকে যখন মেহেরপুর-কুষ্টিয়ার এই সড়কটি প্রশস্থকরণ ও সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেয়া হচ্ছিল তখন রাস্তাটি গণমুখী করার লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধগন নানাভাবে চেষ্টা করছিলেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মূল নকশাঁয় গোল চত্ত¡রের স্থলে ত্রিভূজ আকৃতির একটি আইল্যান্ড জায়গা পেয়েছে। পৌরসভার দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে আরও অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। এ নকশাঁয় রয়েছে ত্রিভূজ আকৃতির একটি আইল্যান্ড, একটি বাস-বে এবং কুষ্টিয়া সড়ক থেকে হাটবোয়ালিয়া সড়কে যাতায়াতের জন্য সার্ভিস লেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের যে নকশাঁ রয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে বিদ্যমান যাত্রী ছাউনির পেছনের আরও কিছু অংশ পর্যন্ত জমি প্রয়োজন। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাড়ায় যাত্রী ছাউনীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালেক ফল ভান্ডার। স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ি ও রাজনীতিকরা ওই যাত্রী ছাউনী অপসারনের দাবী জানান। এ নিয়ে কয়েক দফা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন ব্যবসায়ি ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় ব্যবসায়ি ও বাসিন্দারা জানান, জেলা পরিষদ স্থানীয় একটি মহল ও কয়েকজন ব্যবসায়ির স্বার্থ রক্ষায় মরিয়া হয়ে নকশাঁ বাস্তবায়নের বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছিলেন। যার কারনে সড়কের মূল নকশাঁ বাস্তবায়ন বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। আগের নকশাঁ বাদ দিয়ে নকশাঁ পরিবর্তন করা হয়েছে। মূল নকশাঁ বাস্তবায়ন না হলে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর-হাটবোয়ালিয়া সড়কটিতে যাতায়াতকারী যানবাহনে দূর্ঘটনাসহ প্রাণহানীর ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। তাছাড়া ব্যবসায়িদের মালামাল উঠানো নামানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। এ নিয়ে শনিবার বাজারের সর্বস্তরের ব্যবসায়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন।
ব্যবসায়ি ও এলাকাবাসীর প্রতিনিধি হিসেবে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা জানান, প্রশাসন বিষয়টি সমাধানের আশ^াস দেওয়ায় ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সকল ব্যবসায়ি রাস্তা ছেড়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে গেছেন। এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। প্রশাসন অতিশীঘ্র ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলা হয়েছে। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে এ সড়ক সংস্কারের দ্রæত ব্যবস্থা নেবেন জেলা প্রশাসন।