সবার সংবাদ প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের গাংনীর কামারখালি গ্রামের মানষিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে গোলাম রসুল (৬২) নামের এক ব্যাক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ১০ লাখ জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়। বুধববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে মেহেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। গোলাম রসুল কামারখালি গ্রামের দুর্লভ মন্ডলের ছেলে। তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানান যায়, ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর সকাল ৭ টার সময় ঐ কিশোরীকে কচু ও মরিচের ক্ষেতে ডেকে নিয়ে যায় গোলাম রসুল। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে সে। মাস চারেক পর ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ও পরিবর্তন হওয়ায় কিশোরীকে জিজ্ঞাসা করে তার পরিবার ও প্রতিবেশী। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী ইশারা ইঙ্গিতে কিভাবে ও কে ধর্ষন করেছে জানিয়ে দেয়। বিষয়টি গোলাম রসুলের পরিবারকে জানালে সকলেই ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর পর নিশ্চিত হয়।
মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে ওই কিশোরীর গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে প্রস্তাব দেয় গোলাম রসুলের পরিবার। কিন্তু এতে রাজি না হয়ে কিশোরীর মা বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা করেন। কিছুদিন পর কিশোরী একটি সন্তান প্রসব করে। এদিকে গাংনী থানা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আলোচিত এ মামলায় ৮ জন সাক্ষ্যির সাক্ষ্য গ্রহন শেষে গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১৫ ধারার বিধান অনূযায়ী আসামী গোলাম রসুলকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড দেন আদালত। অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
একই আইনের ধারার বিধান অনূযায়ী আসামী গোলাম রসুলের প্রতি আরোপিত অর্থদন্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য হবে। উক্ত ক্ষতিপূরণের টাকা আসামী গোলাম রসুলের বর্তমান সম্পদ হতে আদাঁয় করা সম্ভব না হলে তিনি ভবিষ্যতে যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী হবেন সে সম্পদ হতে আদায়যোগ্য হবে। মামলায় আসামী পক্ষে আসাদুজ্জামান ও রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি ছিলেন মিয়াজান আলী।