গাংনীতে কাজ শেষ হলেও মজুরী পাননি ইজিপিপির শ্রমিকরা
টপ নিউজ মেহেরপুর

গাংনীতে কাজ শেষ হলেও মজুরী পাননি ইজিপিপির শ্রমিকরা

সবার সংবাদ ডেস্ক:

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় অতিদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ শেষ হলেও মজুরির টাকা পাচ্ছেন না দুই হাজার ৬৩১ জন শ্রমিক। এতে তাঁদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মজুরি বাবদ চার কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা প্রাপ্য রয়েছে শ্রমিকদের।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের ৩৩৫ জন, তেতুঁলবাড়িয়া ২৮৬ জন, বামন্দী ২৫২ জন, মটমুড়া ৪০৭ জন, ষোলটাকা ২৩৪ জন, কাথুলী ২৪৩ জন , ধানখোলা ৪৪৬ জন, রাইপুর ২০২ জন, সাহারবাটি ২২৬ জনসহ মোট ২৬৩১ জন তালিকাভুক্ত শ্রমিক রয়েছেন।

গত ১১ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারী পর্যন্ত ৪০০ টাকা দিনহাজিরা চুক্তিতে কাজ করেছেন তাঁরা। বিধিমোতাবেক তালিকাভুক্ত এসব শ্রমিকের মজুরির টাকা প্রতি সপ্তাহে তাঁদের মুঠোফোনে আসার কথা। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পরও একদিনেরও মজুরি পাননি এসব শ্রমিক।

ষোলটাকা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের শ্রমিক আইয়ুব আলী জানান, তার মজুরীর টাকায় সংসার চলে। সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে গরু কেনা হয়েছে। সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে হয়। কিন্তু এ টাকা না পাওয়ায় নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। একই কথা জানালেন শিমুলতলার শ্রমিক হাফিজুল ইসলাম ও কালাম। তারা একদিনেরও মজুরী পান নি।

নারী শ্রমিক হালেজান নেছা জানান, তিনি বিধবা। এ কাজের টাকা দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি প্রতিবন্ধী মেয়ের চিকিৎসা করান তিনি। কিন্তু টাকা না পাওয়ার তার দুর্দিন। চেয়ারম্যানরা জানান, কাজ শেষ হওয়ার পরও মজুরির টাকা না পাওয়ায় প্রতিদিন শ্রমিকদের কষ্টের কথা শুনতে হচ্ছে। হতদরিদ্র শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরির টাকার ওপর নির্ভর করে সংসার চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কিস্তির টাকা দিয়ে থাকেন।

কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পরও মজুরির টাকা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছেন তাঁরা। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পিআইওকে জানানোর পরও কোন সুরাহা হয়নি। জানতে চাইলে পিআইও অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আলীমুল রেজা জানান, শ্রমিকদের মজুরির টাকা পাচ্ছেন না এটা বেশ কষ্টকর।

৪০ দিনের কাজের মধ্যে ২০ দিনের বিল করে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আজো আসেনি। বারবার তাগিদ দেয়ার পরও কিছু হচ্ছে না। অথচ শ্রমিক মেম্বর ও চেয়ারম্যানগণ নানাভাবে প্রেসার দিচ্ছেন। গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জণ চক্রবর্তী বলেন, শ্রমিকদের বিল সাবমিট করে পাঠানো হয়েছে দুই সপ্তাহ আগে। সারা বাংলাদেশে একই অবস্থা।