সবার সংবাদ ডেস্ক:
মেহেরপুরে একটি ইট ভাটায় মুল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক কর আইন ২০১২ সনের ৪৭ নং আইনে তিন লক্ষ টাকা কর বকেয়া থাকায় ওই ইট ভাটার অফিস কক্ষ সিলগালা করেছে জেলা কাস্টমস অফিস। গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের সততা ব্রিকস এ আদেশ জারি করা হয়। কিন্তু কাস্টমস অফিসের এ আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অন্য দরজা দিয়ে সমস্ত কার্যক্রম চলমান রেখেছে ইট ভাটা মালিক পক্ষ।
খেলাপী করদাতার ব্যবসায় অঙ্গনে তালাবদ্ধ করণ নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইট ভাটা মালিক দেলোয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ১১/১০/২০২২ তারিখে বকেয়া কর সার্টিফিকেট নং ৬ জারি করা হয় এবং বকেয়া কর পরিশোধ না করা পর্যন্ত ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অঙ্গনে সমস্ত রকম অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরেও বকেয়া কর পরিশোধ না করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় ৩০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে ইট ভাটার অফিস সিলগালা করে আবারো ওই ইট ভাটার সকল অঙ্গনে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন মেহেরপুর জেলা বকেয়া কর আদায় কর্মকর্তা ও উপ-কমিশনার নিতীশ বিশ্বাস।
কিন্তু ওই কর্মকর্তার সরকারী এই আদেশ অমান্য করে ইট ভাটার সমস্ত কার্যক্রম চলমান রেখেছে ইট ভাটা মালিক। এ বিষয়ে ইট ভাটা মালিক দেলোয়ার রহমান জানান, সে রামনগর গ্রামের ডিশ ব্যবসায়ী জালালের নিকট ইট ভাটা বিক্রি করে দিয়েছে। সে আর ওই ইট ভাটা পরিচালনা করে না।
এদিকে রামনগর মাঠে অবস্থিত সততা ব্রিকস নামের ইট ভাটায় সরজমিনে দেখা যায় ইট ভাটার অফিস কক্ষ সিলগালা করা থাকলেও কক্ষের অন্য দরজা দিয়ে সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেই সাথে ইট ভাটার সমস্ত কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে ডিশ ব্যবসায়ী জালাল উদ্দীনের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও গনমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখী হতে রাজি হয়নি।
সততা ব্রিকস নামের ইট ভাটা সিলগালাকারী মেহেরপুর জেলা বকেয়া কর আদায় কর্মকর্তা ও উপ-কমিশনার নিতীশ বিশ্বাস জানান, ইটভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধের জন্য সিলগালা করা হয়েছিল। তবে পেছন দরজা দিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।